সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন সিলেটের আকাশ অনেকটা পরিষ্কার থাকলেও গতকাল দিবাগত রাত তিনটার পর থেকে আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেটের কুশিয়ারা ও সারি নদীর দুটি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যা ৬ছয়টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৭৬ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। আজ সকাল ৯টায় ওই পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে ছিল ১১ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টার হিসাব অনুযায়ী সেখানে পানি ছিল ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার।
কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। সেখানে গত সোমবার পানি ছিল ১৭ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ছয়টায় সেখানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর শেওলান পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। সেখানে সকাল ৯টায় পানি অবস্থান করছে ১৩ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারে। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যায় পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল ৯টায় বিপৎসীমার দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ থেকে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সেখানে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল ৮ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় সেখানে ১০ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল।