মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার কাউহানি গ্রাম থেকে কল করেন কায়েস আহমেদ। বন্যায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে গতকালই এখানকার মোবাইল নেটওয়ার্ক পুরোপুরি সচল হয়েছে। সৌরবিদ্যুতে মোবাইল ফোনেও চার্জ দিতে পেরেছেন কায়েস।
কায়েস জানান, গত এপ্রিলের বন্যায় তার গ্রামের মানুষ অল্প কিছু আধপাকা ধান ঘরে তুলতে পেরেছিলেন। এবার নষ্ট হয়েছে পুরোটাই। গ্রামের ২০০ পরিবার গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বিদ্যালয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ও অপেক্ষাকৃত উঁচু বাড়িগুলোতে একসঙ্গে তীব্র কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু ৭ দিনেও এই গ্রামে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।
কাউহানি গ্রামটির অবস্থান সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলার মধ্যবর্তী জায়গায়। কায়েস বলেন, 'নেটওয়ার্ক পাওয়ার পর ফেসবুকে দেখলাম অনেকে মধ্যনগর বা তাহিরপুরে ত্রাণ দিচ্ছেন। সবাই এসে উপজেলা সদরের আশেপাশের গ্রামগুলোতেই ত্রাণ দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ ভাটিতে যে শত শত মানুষ খেয়ে না খেয়ে আছে তার খবর কেউ রাখছে না।'
গতকাল সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের যাত্রাপথেও একই রকম পরিস্থিতি দেখেছেন দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদক। বন্যায় আটকে পড়া সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের একলিমনগর গ্রামের বাসিন্দারাও সোমবার পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সেনা সদস্যরা সেখানে ত্রাণ নিয়ে যান।
একইরকম অবস্থা সিলেট বিভাগের বন্যাকবলিত প্রায় প্রতিটি এলাকায়।