বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। দায়ী করা হচ্ছে ওমিক্রনকেই। কোনও দেশে ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টেরও কথাও বলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে সংক্রমণ বাড়ার পেছনে কোন ভ্যারিয়েন্ট সক্রিয় তা এখনও জানা যায়নি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে। তবে সংক্রমণের ধরন, তীব্রতা ও হার ওমিক্রনের দিকেই ইঙ্গিত করে।
চীনের সাংহাই, উত্তর কোরিয়া ও ভারতে যে ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে, সেই ওমিক্রনের একটি উপ-ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, টানা পাঁচ সপ্তাহ করোনাভাইরাসে মৃত্যু কমার পর গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা চার শতাংশ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) মহামারি সম্পর্কে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গত সপ্তাহে ৮ হাজার ৭০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২১ শতাংশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে মৃতের সংখ্যা ১৭ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, গত সপ্তাহে প্রায় ৩২ লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
দেশে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। এরপর জানুয়ারিতে বাড়তে থাকে শনাক্তের হার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংক্রমণের হার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর পর থেকেই সংক্রমণের হার কমেছে। তবে, এ সময়ও কিছু অঞ্চলে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। যেমন, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংক্রমণ ৫৮ শতাংশ এবং ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।