যে আইনের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কালো টাকা তৈরি হয় এবং সৎ করদাতাদের কালো টাকার মালিক হতে বাধ্য করা হয় তেমন আইন থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি লিখেন, ‘পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী মাননীয় অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে যাদের ঢাকা শহরে জমি বা ফ্ল্যাট আছে তারা সবাই কালো টাকার মালিক। কালো টাকা বলতে তিনি আয়কর রিটার্ন-এর “অপ্রদর্শিত” আয়কে বুঝিয়েছেন এবং বিশেষ করে গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার উদাহরণ দিয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় যে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্তব্য নিয়ে কোনো আলোচনা চোখে পড়েনি। ডেভলপার কোম্পানিগুলোর সংগঠন (রিহ্যাব) বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় ফ্ল্যাট বিক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর দাবি করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।’
ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, ‘দেশে ব্যাপকহারে কর ফাঁকির প্রবণতা জানা কথা। কিন্তু অর্থমন্ত্রী জমি বা ফ্ল্যাট কেনা-বেচার বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়ায় একটি অসঙ্গতি উল্লেখ করে উক্ত মন্তব্যটি করেছেন। সরকার বিভিন্ন অঞ্চলের জমি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তরের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটা দাম বেঁধে দিয়েছেন (জমি বা ফ্ল্যাটের আয়তন অনুযায়ী)। অর্থমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন যে, গুলশান এলাকার জন্য এই বেঁধে দেওয়া মূল্যের থেকে প্রকৃত মূল্য পাঁচ-ছয় গুণ বেশি। কাজেই যিনি ওই দাম দেখিয়ে বিক্রি করছেন তাঁর বিক্রয় থেকে পাওয়া আয়ের অধিকাংশের জন্য বৈধ উৎস আয়কর কর্তৃপক্ষকে দেখাতে পারবেন না এবং অপ্রদর্শিত থেকে যাবে। অর্থমন্ত্রীর মতে এভাবে আইনের অসঙ্গতি থেকে এমনিতেই কালো টাকা তৈরি হচ্ছে।’