কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের পার্থী আরফানুল হক রিফাত। আর ৩১ বছর পর কুমিল্লার মেয়র পদে নৌকার এই জয়ে আবারো আলোচনায় কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
আগের দুই বারের মতো এবারও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ঘুরেফিরে আসতে থাকে বাহারের নাম। সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে এবারসহ তিনটি নির্বাচনেই বাহার সমর্থিত প্রার্থীই বিজয়ী হয়েছেন। আর এই বিজয়কে এমপি বাহারের সিটি করপোরেশন বিজয় হিসেবেই দেখছে কুমিল্লা সিটির মানুষ।
২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন হয়। ২০১২ সালে প্রথম নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর হিসেবে পরিচিত ও কুমিল্লা সদর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল খান। সেই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছে পরাজিত হন তিনি।
বিপুল জনপ্রিয়তা ও দলীয় সমর্থনের পরও আফজাল খানের পরাজয়ের নেপথ্যে বাহারের সঙ্গে তার বিরোধের ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়। কুমিল্লার রাজনীতিতে আফজাল-বাহার ১৯৯০ সাল থেকে। সেবার দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশের পরও নিষ্ক্রিয় ছিলেন বাহাউদ্দিন বাহারসহ তার সমর্থকরা।
বাহারের বিরুদ্ধে সাক্কুকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ আসে। প্রথমবারের কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সাক্কু জয়ী হন। আর সেই সঙ্গে কুমিল্লার রাজনীতি থেকে আফজাল খান অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে বার্ধক্য ও অসুস্থাতাজনিত কারণে আফজাল খান অংশ নেননি। তবে তার মেয়ে বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আঞ্জুমান খান সীমাকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার টিকিট এনে দেন।