এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৯ জুন। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯২৩ জন। বাকিরা অনিয়মিত ও ফল উন্নয়ন প্রার্থী। যারা নিয়মিত পরীক্ষার্থী, তাদের সঙ্গে দুবছর আগে নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন করেছিল ২৩ লাখ ১ হাজার ৪৬৯ জন। অর্থাৎ, পরীক্ষার সময় এসে দেখা যাচ্ছে ৪ লাখ ৭ হাজার ৫৪৬ জনই ঝরে পড়েছে। তাদের মধ্যে আবার নারী শিক্ষার্থী ২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জন বা ৬২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, সুশীলসমাজ ইতঃপূর্বে ঝরে পড়া সম্পর্কে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, এ তথ্য থেকে তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন স্তরেই এভাবে ঝরে পড়ার চিত্র আছে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তের অভাবে সেটি জানা যাচ্ছে না। আর ঝরে পড়া এসব শিক্ষার্থী কোথায় গেল, সেটাও জানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশঙ্কা করছি, তাদের মধ্যে ছেলেদের অনেকেই হয়তো শিশুশ্রমে ভিড়ে গেছে। আর ছাত্রীদের বিয়ে হয়েছে। মূলত শিক্ষার ব্যয় বহন করতে না পেরে লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়ার সংখ্যাটা বেশি। খানা সমীক্ষায় আসন্ন জনশুমারিতে ঝরে পড়ার এই দিকটিও তুলে আনার পরামর্শ দেন তিনি।