সম্বোধনের জন্য পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষার অসংখ্য শব্দ আছে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজি ভাষার পদগুলোই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। হাই, হ্যালো—এই শব্দগুলো ছাড়া দৈনন্দিন যোগাযোগ যেন অনেকটাই অসম্ভব। বিশেষ করে বর্তমানে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো আলাপ শুরুই হয় এগুলো দিয়ে।
এক ‘হাই’ কিংবা ‘হ্যালো’ যে কত শতসহস্র গল্পের জন্ম দেয়, তার ইয়ত্তা নেই। হাই দিয়ে পরিচয়, এরপর প্রণয়-পরিণয়। কিংবা বিচ্ছেদ। এসব তো চেনা গল্প। এর বাইরেও কত কিছু হতে পারে। পরিচিত কিংবা অপরিচিত কারও ছোট্ট একটা হাই আপনার দিনটাকেই করে দিতে পারে রঙিন। মন খারাপের গোমড়া মুখে ফুটতে পারে অমল হাসি। মুহূর্তেই কেটে যাতে পারে দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্নতা।
আজ ১১ জুন, ‘হাই’ বলা দিবস। জোসেফ অ্যান্থনি সিনোট্টি নামের ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের স্মৃতি রক্ষার্থে চালু করা হয় এই দিবস। জোসেফ ছিল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু। খুব হাসিখুশি ছেলেটি পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সব সময় হাই বলে অভিবাদন জানাত এবং সে চাইত, অন্যরাও তাকে এভাবে সম্ভাষিত করুক। কিন্তু ২০১৮ সালে ছেলেটি মারা যায়। তবে সে দেখিয়ে দিয়ে যায়, ছোট্ট একটা শব্দ হাই আমাদের জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ। এরপর তার মা-বাবা প্রতিষ্ঠা করেন ‘সে হাই ফাউন্ডেশন’। ফাউন্ডেশনটির উদ্যোগে ২০২১ সালের ১১ জুন প্রথমবারের মতো পালিত হয় ‘সে হাই ডে’।
যত দূর জানা যায়, ইংরেজি ভাষায় হাই সম্বোধন পদটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৬২ সালে। তবে উনিশ শতকের গোড়ার দিকে এটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে।