অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর, অর্থাৎ মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়েছে- এ প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত এই বাজেটে বিগত সময়ের নানা অর্জন যেভাবে প্রস্তাবনায় উপস্থাপিত হয়েছে, সেভাবে বিদ্যমান সংকট উত্তরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা কি আছে? সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মধ্য, নিম্ন মধ্যবিত্তের প্রত্যাশা পূরণের কোনো প্রতিফলন এই বাজেটে নেই।
করোনা দুর্যোগ-উত্তর পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে সৃষ্ট নতুন বিশ্ববাস্তবতায় একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, এগুলো সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়াটাই বড় বিষয়। কিন্তু আমরা দেখলাম, এই কঠিন সময়েও গতানুগতিক ধারায়ই বাজেট উপস্থাপিত হলো।
বাজেট ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমে অর্থনীতির বিশ্নেষকসহ নানা মহলের প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে। এই প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটের ত্রুটি-অসংগতিসহ আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে এ নিয়ে বিশ্নেষণ আছে। এটা অজানা নয়, প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জাতীয় সংসদে দীর্ঘ আলোচনা হবে। জাতীয় সংসদে এই প্রক্রিয়ার পর বাজেট পাস হবে। কাজেই বাজেট সংশোধনের অবকাশ রয়েছে। আমি মনে করি, গঠনমূলক সমালোচনা-বিশ্নেষণ তুড়ি মেরে উড়িয়ে না দিয়ে অর্থমন্ত্রী যদি বিষয়গুলো সেভাবে ভাবেন, তাহলে তিনি হয়তো বাজেট সংশোধনের অনেক কারণ খুঁজে পাবেন। আমরা বাজেটের আকার নয়, এর কার্যকারিতা এবং মানুষ কীভাবে এর সুফলভোগী হতে পারে, সেদিকটায় গুরুত্ব বেশি দেব।