বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরাতে বিশেষ ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তাই আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রথমবারের মতো পাচারকারীদের ট্যাক্স অ্যামনেস্টি (আয়কর দিলে দণ্ড মাফ) সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ পন্থায় কেউ অর্থ ফেরত আনলে দেশের অন্য কোনো আইনেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না। এক্ষেত্রে পরিশোধ করতে হবে নির্ধারিত কর। এ সুবিধা এক বছরের জন্য দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেভাবেই হোক বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করলে বা বিদেশ থেকে রপ্তানির অর্থ দেশে না আনলে বিদ্যমান আইনে সেটি অর্থ পাচার হিসাবে বিবেচিত হয়। অনিচ্ছাকৃতভাবে বা আইনের ভয়ে যে অর্থ বিদেশে রাখা হচ্ছে, তা দেশে আনতে অনেকেই ভয় পেয়ে থাকেন।
এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্যই মূলত আগামী বাজেটে ট্যাক্স অ্যামনেস্টি দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট অঙ্ক কর দিয়ে যে কেউ তার আয়কর রিটার্নে ওই অর্থসম্পদ প্রদর্শন করতে পারবেন। এই অর্থসম্পদের বিষয়ে সরকারের অন্য কোনো সংস্থা প্রশ্ন করবে না এবং প্রচলিত আইনে বিচারের আওতার বাইরে থাকবেন।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি অর্থ পাচার করলে অথবা অর্থ পাচারের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করলে সর্বনিম্ন ৪ বছর ও সর্বোচ্চ ১২ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়াও অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেই অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে অপরিশোধিত অর্থদণ্ডের পরিমাণ বিবেচনায় অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। পাশাপাশি আদালত অর্থদণ্ড বা দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।