গুলশান ক্লাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনির মেয়েকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় আমি বিস্মিত এবং শঙ্কিতও বটে। কারণ আর সব নিয়োগের মতো এটি স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এর পেছনে কারা আছেন? কী উদ্দেশ্য তাদের? কেন জেনেশুনে বঙ্গবন্ধুর খুনির পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ঘটনাটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
এখন যদি কেউ বলেন এটা তারা জানতেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এসব কথা অগ্রহণযোগ্য। কারণ কাউকে নিয়োগ দেওয়ার আগে তার জীবনবৃত্তান্ত নেওয়া হয়। তার বাবা ও মায়ের নাম, ঠিকানা সবই সেখানে থাকে। তারা কি সেগুলো দেখেননি? কারা এই নিয়োগ দিল? তাদের উদ্দেশ্য কী, এটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ তারা জেনেশুনেই এই খুনিদের পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, সাতচল্লিশের ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িক চেতনায় এখনো আবদ্ধ হয়ে আছেন একশ্রেণির মানুষ। সেই চেতনাধারীদের দ্বারাই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হয়েছেন। এই পাকিস্তানপন্থী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনাধারীরা সমাজে, রাষ্ট্রে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। ব্যবসা, বাণিজ্য, মিডিয়ায় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিপুল বিত্ত-বৈভবেরও মালিক হয়েছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো স্বাধীনতার যে চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যেন কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হতে না পারে।