প্রতিদিন সকালে এই ক্লাবগুলো থেকে বেরিয়ে অনুশীলনে যেতেন খেলোয়াড়রা। এই ক্লাবেরই কোনো অংশে কিংবা কক্ষে তাঁবু (ক্যাম্প) পড়ত তাদের। সেখানে হতো তাদের বসবাস। আবার এই ক্লাবগুলোয় বিকালের পর পরিণত হতো অন্য এক জগতে। ভিন্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে এই জগৎ।
রঙিন বাতির রোশনাই, ধুপ-ধুনো-আগরবাতির সুবাস আর ধোঁয়ায় রাতভর আচ্ছন্ন থাকত ক্লাবগুলো। বাইরে লোকজনে গমগম। ভেতরে কিছু পর পর হল্লা। জেতা-হারার উল্লাসধ্বনি। গভীর কিংবা ভোররাতে কেউ পকেট ভরে, কেউবা শূন্যপকেটে বিধ্স্ত চেহারায় বেরিয়ে যেতেন ক্লাব থেকে।
ফকিরাপুলের সেই ক্লাবপাড়ায় এখন সন্ধার পর নেমে আসে ভুতুড়ে পরিবেশ। আবর্জনায় ভরে উঠেছে অনেক ক্লাবের আঙিনা। জং ধরা ফটক ভেঙে পড়ছে কোনো কোনোটির। জং ধরেছে ফটকের তালায়। আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে তালাবদ্ধ এসব ক্লাব। কবে তালা খুলবে সে কথা বলতে পারছে না কেউ। ইতিমধ্যে দরজা-জানালা ভেঙে চুরি হয়ে গেছে অনেক মূল্যবান আসবাবপত্র।