ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখোমুখি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আজ ৩০ জুন। বৈঠকটি হলে প্রায় দুই বছর পর এই বৈঠক হতো।
একে বলা হয় জেসিসির বৈঠক। জেসিসি শব্দটার মানে ‘জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন’ বাংলায় বলা যায় ‘যৌথ পরামর্শদাতা কমিশন’।
এই বৈঠকের যে বিষয়বস্তু তাতে দুই দেশের নদীর সমস্যা এবং পরিচালনা, নদীর জলের অংশীদারি—এসব আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে জুলাই মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর কর্মসূচি নির্ধারণ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কথা। যেহেতু গুয়াহাটিতে দুই দিন ধরে নদী কমিশনের দুই দেশের বৈঠক হলো, সেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে সব আলোচনা গুয়াহাটিতেই হয়ে গেছে, সেহেতু এখনই দিল্লিতে আর আলোচনায় বসার দরকার নেই! এই যুক্তি দেখিয়ে দিল্লির বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হলো।
কিন্তু এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। প্রথমত, এত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনেক ভেবেচিন্তেই দুটি রাষ্ট্র করে থাকে। এ তো কোনো আকস্মিক ঘরোয়া বৈঠক নয়!