বাজারের বুলডোজারে বাদ যাচ্ছে না কিছুই

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২, ০৯:৫২

বাজার মানে তো শুধু চাল-ডাল, তেল-সবজি, মাছ-মাংস নয়; থলেতে ভরতে হয় আরও শত পদ। চাল-তেল-সবজির দাম বাড়লেই খবর হয়। চ্যানেল-পত্রিকা-সামাজিক মাধ্যমে শোরগোলও হয়।


তাতে হয়তো কখনো দুই টাকা কমেও। কিন্তু টুথপেস্টের দাম ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা হলে কেউ আর তা নিয়ে কথা বলে না, যে কেনে সে বোঝে। ৫০ টাকার পাউরুটি ৬৫ টাকা হয়ে গেলেও প্রতিদিন কেনাই লাগে। গায়ে মাখার বা কাপড় কাচার সাবান-ডিটারজেন্ট না হলে চলবে কীভাবে? কিন্তু তার দামও তো বেড়ে গেছে। এভাবে বলতে থাকলে বাদ যাচ্ছে না কোনো পণ্যই। আসলে বাজারের দামটাই যেন বেড়ে গেছে।


বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মধ্যবয়সী সালেহ আহমেদ। রাজধানীর দিলু রোডের মাঝারি মাপের একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী, তিন সন্তান আর মাকে নিয়ে বসবাস করেন। মরণব্যাধি করোনায় তাঁর পরিবারে ঘা পড়েনি, কিন্তু ছুরি পড়েছে তাঁর উপার্জনে। বেতন কমে গেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। হাতে বাজারের থলে নিয়ে মলিন মুখে ঘুরছিলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। মহল্লার চেয়ে একটু কম দামে জিনিস কিনতে তিনি নিয়মিতই এখানে আসেন।


কথায় কথায় সালেহ আহমেদ বললেন, ‘সংসারের খরচ কাটছাঁট করে কোনোমতে দুবেলা খেয়ে-পরে আছি। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, ভবিষ্যতে হয়তো তা-ও সম্ভব হবে না। আগে বাসায় দুধ-চা খাওয়া হতো। গুঁড়ো দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেই শখ কাটা পড়েছে। আগে যে পাউরুটি কিনতাম ৫০ টাকায়, এখন কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকায়। টুথপেস্ট, টিস্যু, টয়লেট ক্লিনার, কাপড় কাচা সাবান—কোনটির নাম বলব? সবকিছুর দামই তো বেড়েছে।’


তাহলে সামলাচ্ছেন কীভাবে? এই প্রশ্নে সালেহ আহমেদ জানালেন দুই তরিকা। এক. পরিমাণে কমিয়ে দিয়েছেন। দুই. ছাড় দিয়েছেন ব্র্যান্ডে। আগে হয়তো টুথপেস্ট বা টিস্যু কেনার সময় দোকানিকে কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের কথা বলতেন। এখন জানতে চান, দাম কম হবে কোনটার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us