কদিন আগে এক টিভি চ্যানেলে আলোচনা অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে অংশ নিয়েছিলাম। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বললেন, বাংলাদেশে বেকারত্ব নেই। পরে অবশ্য তিনি তাঁর বক্তব্য আরও পরিষ্কার করে বললেন, শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের মধ্যে বেকারত্ব আছে। তবে যাঁরা শিক্ষিত নন, তাঁদের মধ্যে নেই। এরপর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান দাবি করলেন, দেশে বেকারত্ব নেই। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১২ মে ২০২২)। ফসল কাটার জন্য কৃষিশ্রমিকের অপ্রতুলতা এবং পোশাকশিল্পে কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না—দুজনেরই বক্তব্যের মূল ভিত্তি ছিল এ তথ্য।
বেকারত্ব আছে পৃথিবীর সব দেশেই, বাংলাদেশেও আছে। বস্তুত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় বেকারত্ব সম্পূর্ণ দূরীকরণ কাম্য বলে মনে হয় না, সম্ভবও নয় । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বেকারত্বের হার মোট জনশক্তির কমবেশি ৫ শতাংশ। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায়ই এটা তেমন বেশি নয়। তবে জনশক্তির কোনো কোনো অংশে, বিশেষ করে কম বয়সী তরুণ ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী ‘শিক্ষিত’ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে এ হার তুলনামূলক বেশি। সালমান রহমানও যথাযথই বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপ্রয়োজনীয় ডিগ্রি নেওয়া তরুণেরা চাকরি পাচ্ছেন না।