ফের আলোচনার জন্ম দিয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। দেশের বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা খাতের পথিকৃৎ এবং মানসম্পন্ন পাঠদানের খ্যাতি থাকলেও নানা কারণে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষালয়টির। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেনার প্রক্রিয়ায় ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যকে উচ্চ আদালত পুলিশে সোপর্দ এবং পরে কারাগারে পাঠানোয় নতুন করে মুখে মুখে ফিরছে শিক্ষাঙ্গনটির নাম।
সম্পূর্ণ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে খোদ ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষাসংশ্নিষ্ট মহল হতবাক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এ ঘটনা অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও দৃষ্টান্ত হতে পারে। আইনের বাইরে গেলে কেউই রেহাই পাবেন না।
এর আগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার ঘটনা বেরিয়ে এলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পড়েছিল ইমেজ সংকটে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি ও পরে ওই বছরের কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে বোমা হামলায় অংশ নেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিবরাস ইসলাম ও আবির রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়টির ওই সময়ের শিক্ষক হাসনাত করিমের জঙ্গি-সংশ্নিষ্টতাও জোরালো আলোচনায় আসে।