ছোটবেলায় ‘আলীবাবা ও চল্লিশ চোর’র গল্প পড়তে গিয়ে ঐ জায়গাটা সত্যিই সেই শিশু বয়সেও মনে দোলা দিত। কোন জায়গাটি? একদিন আলীবাবা গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন। আলীবাবার স্ত্রীর কাছ থেকে তার ধনাঢ্য ভাই কাশেমের স্ত্রী সখিনা কী এক কাজে দাঁড়িপাল্লা নিয়েছিলেন। দাঁড়িপাল্লা ফেরত দেওয়ার পর লক্ষ্য করেন যে, দাঁড়িপাল্লার নিচে মোহর আটকানো।
তখন তো সখিনা কপাল চাপড়ে কাঁদছে, সারা জীবন যে দাঁড়িপাল্লায় সবজি মাপলো আর আজ গরিব আলীবাবার বউ কি না দাঁড়িপাল্লায় মাপছে খোদ সোনার মোহর? সেই থ্রি-ফোরে পড়ার বয়সে কি সবজি আর সোনার মোহরের পার্থক্য বোঝার কথা একটি শিশুর? তবু বুঝেছি কিন্তু।
কল্পনা করেছি, দাঁড়িপাল্লার নিচে সোনার মোহর থাকলে সেটা কেমন। কারণ যত ছোটই হই, মাসের শেষ দিকে বাবার একটু চিন্তিত মুখ, সবজিওয়ালা থেকে শুরু করে সবার সাথেই মায়ের খানিকটা আনাড়ি দর-কষাকষি, বাবা-মা’র ভেতর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাস্তবতার ভেতরেই আমাদের সময়ের সাধারণ মধ্যবিত্ত শিশুরা বেড়ে উঠতো।