চলতি বছরের গোড়ায় আমি আর্থিক বাজারের গতি–প্রকৃতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। তখন আমার চোখে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ধরা পড়ছিল। সে সময় অনেক সম্ভাব্য ঝুঁকিও দেখছিলাম যেগুলো এখন যতটা স্পষ্ট, তখন ততটা ছিল না। আমি যখনকার কথা বলছি, তখন রাশিয়া সবে ইউক্রেনের সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনা জড়ো করতে শুরু করেছে, কিন্তু তখনো হামলা চালায়নি। এখন রাশিয়া পুরোদস্তুর আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করেছে। এর জের ধরে মস্কো আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং বাজারব্যবস্থা থেকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে।
অন্যদিকে, পশ্চিমা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের নীতিগত অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আজকের এই মুদ্রাস্ফীতি একটি নিছক ক্ষণস্থায়ী ঘটনা এবং এটি আপনা-আপনিই ঠিক হয়ে যাবে—কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো শেষমেশ এই ধারণা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন ইচ্ছাকৃতভাবেই উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থাকে (প্রধানত তাদের ব্যালান্স শিট উন্মুক্ত করে দিয়ে এবং সুদের হার বাড়িয়ে) কড়াকড়ির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এই কড়াকড়িতে পরিবারগুলোর ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে চাপ যোগ হচ্ছে। এইভাবে একই ধরনের চাপ যুক্ত হচ্ছে বৃহত্তর অর্থনীতিতে।