মিষ্টি, স্বাদ ও সুঘ্রাণের জন্য কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর খ্যাতি আজ দেশজুড়ে। ভরা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর এ গ্রামের লিচু বাগানগুলো। এবার গ্রামটির চাষিরা ১০ কোটি টাকার বেশি লিচু বিক্রির আশা করছেন।
জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পাকুন্দিয়া উপজেলা মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের অবস্থান। গ্রামের প্রবেশপথেই দেখা মিলবে রাস্তার দু’পাশে সারি সারি লিচু গাছ। হাজার হাজার লিচু থোকায় থোকায় ঝুলছে গাছগুলোতে। লাল টকটকে লিচু দেখলে যে কারও খেতে লোভ জাগবে। লিচু চাষ করেই দেশখ্যাত মঙ্গলবাড়িয়া গ্রাম, স্বাবলম্বী এখানকার চাষিরা।
মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর জাত ও উৎপাদন বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ঠিক কত বছর আগে এবং কীভাবে এ গ্রামে লিচুর চাষ শুরু হয়, তার সঠিক কোনও তথ্য নেই। তবে প্রবীণদের ধারণা, প্রায় ২০০ বছর আগে গ্রামের মো. হাশিম মুন্সী চীন থেকে চারা এনে তার বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেন। তারপর থেকেই এ লিচুর জাত পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্রামের নামেই এ জাতের লিচুর নামকরণ হয়। আর এখন এই লিচুর জন্যই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রাম।