উনিশ শতকের আগের গদ্যচর্চা অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের গবেষণার অন্যতম প্রধান বিষয়। পুরোনো গদ্যের প্রমাণসূচক উপকরণ আবিষ্কার বা নতুনভাবে উপস্থাপনের দিক থেকে আনিসুজ্জামানের লেখালেখির একটি অপূর্ণ তালিকা এরকম : ক) ‘A note on two manuscripts of ‘Sarvodaya’’, [Chittagong University Studies, Part 1, Vol. ii, 1978]; L) Factory Correspondence and other Bengali Documents in the India Office Library and Records, [London, 1981]; খ) ‘অষ্টাদশ শতাব্দীর কিছু বাংলা চিঠিপত্র’, [ভাষা ও সাহিত্য পত্র, ষষ্ঠ বর্ষ, ১৩৮৫; গ) ‘আঠারো শতকের একটি মামলার নথি’, সাহিত্য পত্রিকা, বর্ষা, ১৩৮৯; ঘ) আঠারো শতকের বাংলা চিঠি [চট্টগ্রাম, ১৯৮২]
এর মধ্যে স্বরোদয়-সংক্রান্ত গবেষণার বিশেষ গুরুত্ব এই যে, এর মধ্য দিয়ে ‘ষোড়শ শতাব্দীর রচনা বলে নিঃসংশয়ে গণ্য হতে পারে, এমন একটি গ্রন্থের সন্ধান’ পাওয়া গেছে। ফ্যাক্টরি করেসপন্ডেন্স (Factory Correspondence) ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরির বাংলা নথিপত্রের ব্যবহারযোগ্য সুশৃঙ্খল তালিকা করে অন্য অনেক গবেষণার পথনির্দেশ করেছে।
আঠারো শতকের মামলার নথি - আমরা পরে দেখব - সমকালীন চালু বাংলার কেজো রূপের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তার সংগৃহীত উপাদান রাশির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একরাশ বাণিজ্যিক চিঠির সংকলন। ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে রক্ষিত দুই হাজারের বেশি বাণিজ্যিক পত্র খুঁজে পেয়েছিলেন আনিসুজ্জামান। সেখান থেকে নির্বাচিত চিঠি প্রকাশ করেছিলেন আঠারো শতকের বাংলা চিঠি নামে।