অবৈধ অস্ত্র ও মাদক কেনাবেচা, বিদেশে অর্থ ও মানবপাচার, জঙ্গিদের অর্থায়ন এবং অনলাইন জুয়া— এই ছয় ধরনের অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা। বিশেষ করে বিটকয়েনের মাধ্যমে এসব অপরাধ সংঘটিত হলেও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ অবস্থায় বিটকয়েনের ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশনার পাশাপাশি বিটকয়েনের প্রযুক্তি সম্পর্কিত আধুনিক তথ্য ও জ্ঞান লাভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের সাইবার ইউনিট এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার সংগ্রহের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সদর দফতরে। পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক কাজী জিয়া উদ্দিনের সই করা সেই চিঠির আলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।