মানুষ মাত্রেরই আইন অমান্যের প্রবণতা থাকে এবং সে কারণেই আইন করে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, যাতে মানুষ অন্যায় না করে। যে সকল দেশ সভ্য বলে আজ স্বীকৃত সেসব দেশের সভ্য হওয়ার মূল জায়গাটি হলো নাগরিকের আইন মান্য করার প্রবণতা এবং না মানলে নির্ধারিত শাস্তি ভোগের নিশ্চয়তা। বাংলাদেশ ক্রমশঃ সেদিকে যাচ্ছে বলে ধরে নিতে চাই এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা থেকে এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করতে চাই।
আমরা জানি যে, রেলমন্ত্রীর স্ত্রী’র আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে টিটিই’র সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পার পেতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে টিটিই’কে চাকুরিচ্যুত করার যে ঘটনা দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছে সে বিষয়টি নিঃসন্দেহে আলোচনাযোগ্য এবং এর থেকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথরেখার একটা আশাবাদী চিত্রও পাওয়া যায়। এটা বলতে গেলে স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার যে, ক্ষমতার জোর থাকলে রেলগাড়ি থেকে শুরু করে যে কোনো টিকিট বা সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় এদেশে। রেলমন্ত্রী হয়ে রেলের জায়গাজমি নিজের স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার ঘটনাও এদেশে ঘটেছে এবং তা নিয়ে তখন উচ্চবাচ্য করা সম্ভব হয়নি, কিংবা হলেও তাতে কাজ হয়নি। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো ঘটনা।