করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরোপিত কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে ২০২০ সালে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎস ঈদুল ফিতরের উদযাপন ছিল ঘরবন্দি, ঈদকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও ছিল খুব সীমিত৷ ২০২১ সালে বিধি-নিষেধর বেড়াজাল খানিকটা শিথিল হওয়ায় পরিস্থিতি র কিছুটা উন্নতি ঘটলেও তা ২০১৯ সালের মতো হয়নি৷ তবে ২০২২ সালে এসে সবধরণের বিধিনিষেধ উঠে গিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ধারায় ঈদের অর্থনীতিতে আবার জোয়ার লক্ষ করা গেছে৷ কোনো বিস্তারিত গবেষণাভিত্তিক কাজ না হলেও এটা এখন সর্বজন স্বীকৃত যে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও লেনদেন হয়ে থাকে তা সারা বছরের বিভিন্ন উৎসবভিত্তিক অর্থনীতির অন্তত অর্ধেক৷
ঈদুল আজহা, পহেলা বৈশাখসহ অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতীয় দিবসভিত্তিক উৎসব বাকিটা সম্পন্ন করে বলে ধারণা করা যায়৷ রাস্তার ধারের ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে বিলাসবহুল বিপণী বিতানের কেনাবেচা কিংবা কাঁচাবাজার থেকে খাবার-দাবারের বিকিকিনি সবটাতেই ঈদকেন্দ্রিক লেনদেনেই সবচেয়ে বেশি হয়৷ এই ঈদকে ঘিরে দেশজুড়ে যাত্রী পরিবহনের যে ব্যবসাটা হয়, তার সারা বছরে এমনকি ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের সময়ও হয় না৷