নিজের সময় অনুযায়ী ছবি দেখছি, যখন মন চাইছে তখন দেখছি, অন্য কারও ঠিক করে দেওয়া সময়ের জন্য বসে থাকতে হচ্ছে না- এমন স্বাধীনতার কথাই বলছিলেন একজন দর্শক।
বাঁধাধরা সময়ের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মের এই সুবিধার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সোজা সাপ্টাই জানিয়েছেন মোক্তাদির কাদির ইসলাম।
মহামারীর দাপটে ঘরবন্দি জীবনে ফেইসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখে নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইম মুভির গ্রাহক হয়েছিলেন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করা মোক্তাদির।
ঘরে বসে কাজের ফাঁকে তখন ওটিটিই হয়ে ওঠে তার কাছে বিনোদনের প্রধান মাধ্যম। নিজের ক্রেডিট কার্ড না থাকলেও অন্যের মাধ্যমে সাবস্ক্রিপশন ভাগ করে মাসে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিয়ে গ্রাহক হন তিনি।
মোক্তাদির বলেন, “ক্রেডিট কার্ড না থাকায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সাবস্ক্রিপশন করতে পারতাম না। ফেইসবুকে একটি গ্রুপে দেখি একটি স্ক্রিন পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকায়। তখনই নিয়ে ফেললাম। এখনও চলছে।”
মহামারীর সময়ে অনেকেই নিজের অ্যাকাউটন্ট অন্যের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ভাগ করেন। এটাকে কেন্দ্র করে একটা ব্যবসাও গড়ে উঠেছে।
লকডাউনে মানুষের ঘরবন্দি থাকার সময় বিশ্বব্যাপী ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর গ্রাহক বেড়েছে। তেমনি বেড়েছে এর কন্টেন্ট। নিত্য নতুন কন্টেনের কারণে গ্রাহক দিন দিন বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।