করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দুই বছর পর এবার বিধিনিষেধবিহীন ঈদ উদযাপন হতে যাচ্ছে। এ কারণে এবার স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
মোবাইল সিমের সংখ্যায় সবশেষ চার দিনে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৭৩ লাখের কিছু বেশি।
এমতাবস্থায় রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা। এই সুযোগ ব্যবহার করে রাজধানীতে যাতে ছিনতাই, চুরি, যৌন হয়রানিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড না ঘটে সে লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো ডিএমপি থেকে সিসিটিভিতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারও অস্বাভাবিক চলাচল দেখলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাতের বেলায় রাজধানীজুড়ে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ সময় সিসিটিভিতে কারো অস্বাভাবিক চলাচল ধরা পড়লে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
রাজধানীসহ এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ঢোকার প্রবেশপথে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। ফাঁকা ঢাকায় বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলাচল ঠেকাতে কাজ করবে এসব চেকপোস্ট।
তৎপর থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমও। ঈদের ছুটিতে বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়ে কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন কিংবা অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টির খপ্পড়ে না পড়েন তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহল দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যৌন হয়রানির অভিযোগ পেলেই সাথে সাথে সেখানে পৌঁছে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঈদে এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণে চালু হয়েছে হটলাইন (০১৭৭৭৭২০০২৯)।