ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গমের পর ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধ করার পর ঝুঁকিতে পড়েছে বিস্কুট, নুডলস, পাউরুটি, সেমাইসহ প্যাকেটজাত খাবার, বেকারি ও কসমেটিকস পণ্যের উৎপাদন।
ইন্দোনেশিয়া রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার না করলে প্রায় সব ধরণের খাদ্যপণ্যে উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে পাম অয়েলের বিকল্প পাওয়া নিয়েও শঙ্কার কথা বলছেন তারা ।
দেশের খাদ্যপণ্যের অন্যতম উৎপাদক আকিজ ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ আলমগীর বলেন, 'ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রির বড় একটি কাঁচামাল পাম অয়েল। বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ পাম অয়েলের যোগানদাতা ইন্দোনেশিয়া। কম দামে ওখানকার তেল কিনতে পারতো দেশ। তারা রপ্তানি বন্ধ করায় এখন মালয়েশিয়া থেকে বেশি দামে আমদানি করতে হবে'।
তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ান পাম অয়েল থাকার কারণে দাম বাড়লেও আমরা এখনো সংকটে পড়ি নি। তবে খুচরা বাজারে তেলের যেভাবে সংকট তৈরি হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়া সবসময়ই রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার না করলে তা আমাদের পর্যন্ত চলে আসবে'।
গমের বিষয়ে তিনি জানান, দাম ও মানের সমন্বয়ে ইউক্রেনের গম উপযোগী ছিল। এটা বন্ধ হওয়ার পর ভালো মানের গম আনতে হচ্ছে কানাডা থেকে। কানাডার গমের দাম অনেক বেশি। জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া বেড়েছে, এই কারণে এই ইনগ্রেডিয়েন্টের খরচ বেশ বেড়েছে। আমরা ঈদের আগে সেমাইসহ বিভিন্ন প্রসেস ফুডের দাম ৫ শতাংশ এবং কোন কোনটায় আরও একটু বেশি বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।