আনন্দের ঈদ, কষ্টের যাত্রা- ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের নানামুখী বিড়ম্বনার কারণে এমন শিরোনাম হয় সংবাদমাধ্যমে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রায় প্রতিবারই সরকারের তরফে বলা হয়, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই যাত্রা কতটা নির্বিঘ্ন হয়, তা ভুক্তভোগীরা জানেন। এ যেন পথে পথে পাথর ছড়ানো। বলা দরকার, যে উপলক্ষে সাধারণ মানুষ নাড়ির টানে ঘরমুখো হয়; এই উপলক্ষগুলো চিরন্তন। আবহমানকালের। অর্থাৎ উৎসব-পার্বণে বিশেষ করে ঈদের মতো উৎসবে যারা নগরে-মহানগরে ও গ্রামে থাকেন, এই দু'পক্ষের একত্র হওয়া কিংবা একসঙ্গে মিলেমিশে উৎসব উদযাপন বা পালন করা আগে থেকেই চলে আসছে।
আগে অর্থাৎ নির্দিষ্ট করেই বলি, ব্রিটিশ আমলে যখন আমাদের এই ভূখণ্ডের হিন্দু জমিদার কিংবা যারা বিত্তশালী ছিলেন তাদের প্রায় সবারই কলকাতায় ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা চাকরিসূত্রে বসবাস ছিল। কিন্তু শারদীয় উৎসবের ছুটির আগেই তাদের শিকড়ে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হতো। মিলিত হওয়ার এই তোড়জোড় দু'দিকেই অর্থাৎ গ্রামে ও দূরবর্তীদের মাঝে শুরু হয়ে যেত।