বিশ্বব্যাংকের হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বেড়েছে ২৩৪ শতাংশ। টিএসপি সার বেড়েছে ৬৫ শতাংশ। এলএনজি গ্যাসের মূল্য বেড়েছে প্রতি এমএমবিটিইউতে ১৫ মার্কিন ডলার।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে তা আগের মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। কারণ সরকার মূল্য সমন্বয় (বৃদ্ধি) না করে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারে ভর্তুকি দিচ্ছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরে এসব খাতে বড় অঙ্কের ভর্তুকি গুনতে হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব-‘হয় মূল্য সমন্বয় করতে হবে, না হলে ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে।’ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অডিনেশন কাউন্সিল বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
অর্থ মন্ত্রণালয় হিসাবে মূল্য সমন্বয় করা না হলে আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ বাবদ অর্থের প্রয়োজন হবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এটি আগামী অর্থবছরের জিডিপির ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।