মাদকাসক্তি চিকিৎসাযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা। কাজেই হতাশ হওয়ার বা হাল ছাড়ার কিছু নেই। তবে দীর্ঘদিন এই চিকিৎসা চালাতে হবে। এই চিকিৎসা মনোদৈহিক দুটো ভাগে করা হয়। নেশাগ্রস্ততার জন্য শারীরিক লক্ষণগুলোর জন্য দৈহিক চিকিৎসার প্রয়োজন। আর মানসিক ক্ষতি দূর করতে কাউন্সেলিং এবং সাইকোথেরাপি প্রয়োজন। দুটোই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। মাত্র এক মাসের চিকিৎসায় সুফল আসবে না।
মস্তিষ্কের সার্কিট, জেনেটিকস, পরিবেশের প্রভাব এবং মানসিক স্বাস্থ্য, মাদকাসক্তি মানুষের এই চারটি জায়গায় জট পাকায়। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় নেশা গ্রহণ থেকে বিরত হওয়ার অক্ষমতা। আপনার ভাই এ জটিলতার মধ্যে প্রবেশ করেছেন। এটা একটা দূষিত চক্র। ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত মানুষ বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা, তীব্র, রাগ, ক্ষোভে পুড়তে থাকে।
একজন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে আমরা যেমন রাগ করতে পারি না, তার চিকিৎসা করাই, তার যত্ন করি, সেই চিকিৎসা এবং যত্ন আপনার ভাইয়ের এখন প্রয়োজন।