আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন একটি নিত্য অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কল থেকে শুরু করে ব্যাংকিং সেবা—কী নেই এতে? এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আমাদের জীবন বদলে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের অভ্যাস এমনকি সংস্কৃতি-সভ্যতাকেও অনেকটা বদলে দিয়েছে। কিন্তু প্রযুক্তির অগ্রগতি এত দ্রুত হচ্ছে যে—এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে স্মার্টফোনের এই রমরমা সময় আর কত দিন? কোন প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করবে স্মার্টফোনকে?
স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ কী?—এর যথোপযুক্ত জবাব দেওয়া কঠিন। তবে এরই মধ্যে স্মার্টফোনের বিকল্প হওয়ার মতো একাধিক প্রযুক্তি হাজির হয়েছে বাজারে। প্রখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে তিনটি প্রযুক্তি অগ্রগণ্য। সেগুলো হলো—ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর), অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভয়েস কমান্ড। বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তিগুলো স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। এমনকি এসব প্রযুক্তি স্মার্টফোনের ধুলোয় মিশিয়েও দিতে পারে।
২০১৬ সালের পর থেকে স্মার্টফোনের বিক্রি ক্রমশ কমেছে। বিপরীতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেট, অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট ও গ্লাসের বিক্রি ক্রমশ বেড়েছে। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের এক নিবন্ধে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। ফোর্বস ও ইকোনমিস্ট উভয় সাময়িকীর নিবন্ধকারদের বক্তব্য হলো—আগামী দিন হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর), অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভয়েস কমান্ডের। আগামী দিনের প্রযুক্তি বাজারে বিশেষ করে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তিগুলোই আধিপত্য বিস্তার করবে।