আগামী জুলাইয়ের মধ্যে তৃণমূলের সম্মেলন শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে রমজানের পর দ্রুত জেলা, উপজেলাসহ সব পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতির জন্য প্রাথমিক কাজ হলো এই তৃণমূল সম্মেলন ও কমিটি গঠন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের কয়েক মাসের মধ্যেই করোনা মহামারি শুরু হয়।
এতে তৃণমূলে দলের শাখা কমিটিগুলোর সম্মেলন আয়োজন বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে বেশির ভাগ কমিটিই এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ। আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার অর্ধেকের বেশি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৬৫০ সাংগঠনিক উপজেলার মধ্যে পাঁচ শতাধিক কমিটিরই মেয়াদ নেই।
করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় গত দুই মাসে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নসহ সব পর্যায়ে সম্মেলন শুরু হয়। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে তিনটি, রংপুর বিভাগে একটি, বরিশাল বিভাগে একটি জেলায় সম্মেলন হয়েছে। গত মার্চে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ১২টি উপজেলায় সম্মেলন করা হয়। আগামী মে মাসে খুলনা বিভাগের মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ—এই চার জেলা কমিটির সম্মেলন হবে। সিলেট বিভাগের পাঁচ জেলার মধ্যে শুধু সুনামগঞ্জ জেলার সম্মেলন বাকি। আগামী মাসে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হবে। ময়মনসিংহ বিভাগের এক ডজন উপজেলা কমিটির সম্মেলন হয়েছে। বাকি কমিটিগুলোর সম্মেলন প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, গত দুই বছরে এ বিভাগের ৯টি সাংগঠনিক জেলার সব কটিরই সম্মেলন হয়েছে। ৮৩টি সাংগঠনিক উপজেলার ৬৬টির সম্মেলন হয়েছে। বাকি ১৭টির সম্মেলন এক-দুই মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে। জাতীয় সম্মেলনের আগে সব সম্মেলন শেষ করা হবে।
সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা। তিন বছর পর পর আমাদের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। ’
গত মার্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তিন মাসের মধ্যে দলের শাখা কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষ করতে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দেন। সে নির্দেশনার পর তৃণমূলের সম্মেলন বড় আকারে শুরু হয়। তবে রোজা শুরু হওয়ার পর সম্মেলনের কাজে ভাটা পড়ে।