চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভের ওপর দীর্ঘ একটি কলাম প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। হঠাৎ করে চেচনিয়ার এই নেতার প্রতি কলাম লেখক কেন এতটা বিষোদ্গার তা বুঝে ওঠা না গেলেও পশ্চিমের সুরে তিনি যে সেখানে গান গেয়ে গেছেন, সেই প্রমাণ স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে সেই রচনায়। কলাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনকে এক জঘন্য ধরনের স্বৈরাচার হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যিনি কিনা চেচনিয়ায় রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সেই ভূখণ্ডকে আবারও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে রমজান কাদিরভ নামের এক নর-রাক্ষসকে সেখানে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, হত্যা আর দমন-পীড়ন ছাড়া অন্য কোনো ভাবনা যার চিন্তায় একেবারেই নেই।
তবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে চেচনিয়ার ক্ষমতার মঞ্চে কাদিরভের আবির্ভাব, সেই প্রেক্ষাপট কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হলেও দূর ইতিহাসের অগোছালো কিছু উদ্ধৃতি টেনে এনে যা বলার চেষ্টা করা হয়েছে তা হলো, রুশরা জারিনা একাতেরিনা ভেলিকায়ার আমল থেকে চেচেনদের স্বাধীন অস্তিত্বের টুটি চেপে ধরে খুন-খারাপি আর হত্যার রাজনীতি সেখানে সমানে চালিয়ে গেছে। তবে কথা হচ্ছে, বাস্তবতা এ রকম অবশ্যই দাবি করে থাকে যে, সেই অঞ্চল জুড়ে গত ৩০০ বছরে কী ঘটেছিল তা বুঝে ওঠার জন্য রাশিয়ার ইতিহাসের সুলুক সন্ধান হচ্ছে কেবল অংশবিশেষ, ঘটনার সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট তা কোনো অবস্থাতেই নয়।