ঢাকার লালমাটিয়ার বাসিন্দা সজিব হোসেনকে (ছদ্মনাম) গত কয়েক বছর ধরেই তার বাসায় দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সিগন্যালের সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বাসায় থাকলে বেশিরভাগ সময়ই তার ফোনে কল যায় না, কল ড্রপও হয় অনেক বেশি। স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক পেতে বাসা থেকে বের হয়ে কল করেন তিনি।
"আমার লালমাটিয়ার বি-ব্লকের বাসায় বেশিরভাগ সময়ই গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক সিগন্যাল পাইনা। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হলেই আবার পুরোপুরো সিগন্যাল পাওয়া যায়," বলেন সজিব।
মহাখালী ডিওএইচএসে'র বাসিন্দা তানভীর আহমেদের বাসায়ও ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের নেটওয়ার্ক সিগন্যাল থাকে না। কিন্তু, অন্যান্য জায়গায় আবার নেটওয়ার্ক ঠিকই থাকে।
দুর্বল মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য তাদের মোবাইল অপারেটরকে দায়ী করেছেন তানভীর ও সজিব। তবে, অবৈধ সিগন্যাল জ্যামার ও বুস্টারের কারণেও এমনটা হতে পারে।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, দেশজুড়ে ৩২৫টি স্থানে এধরনের অবৈধ ডিভাইসের কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক বাধাপ্রাপ্ত হয়। ঢাকাতেই এরকম স্থান আছে ২১২টি।
জরিপে দেখা গেছে, মসজিদ ও মন্দিরে জ্যামার বসিয়েছে। অনেকে আবার ভালো নেটওয়ার্ক পেতে নিজ বাড়িতে বুস্টার ও রিপিটার বসিয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই এলাকার অন্যান্যদের নেটওয়ার্ক।
ব্যবহারকারীদের অভিযোগের পর এই জরিপ চালানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশ (অ্যামটব) এরপর তথ্য সংগ্রহ করে।
একারণে কল ড্রপ, সাইলেন্ট কল ও ধীরগতির ডেটার মতো নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেয় এফেয়ার্স অফিসার হোসেন সাদাত বলেন, "জ্যামার, রিপিটার বা বুস্টারের অনুনমোদিত ব্যবহার কল ড্রপ বা ধীরগতির ইন্টারনেটের অন্যতম প্রধান কারণ। কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার এসব অনুনমোদিত ডিভাইস ব্যবহারের কারণে গ্রাহকরা সমস্যার মুখে পড়ছেন"।