মহামারীর দুবছর অন্যান্য উৎসবের মত হালখাতাও ছিল বাক্সবন্দি; লোকসানের ধাক্কা সামলে পুরনো বছরের সব দেনা-পাওনা মিটিয়ে বাংলা নতুন বছরে হিসাবের নতুন খাতা খোলার সেই ঐতিহ্য ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ।
হালখাতা কেবল হিসাবের নতুন খাতা খোলা নয়, ক্রেতা-বিক্রেতার আস্থা ও সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ারও আনুষ্ঠানিকতা। তবে আগের সেই জৌলুস আর নেই।
আগে হালখাতার দিন কয় আগে থেকেই ক্রেতাদের বর্ণিল কার্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ জানাতেন ব্যবসায়ীরা, ফুল আর রঙিন কাগজে পরিপাটি সাজে দোকান পেত অন্য চেহারা। দোকানে দোকানে ক্রেতাদের মিষ্টিমুখ করানো হত; সাথে থাকত ধর্মীয় নানা আচার।
সেই আড়ম্বর দিনে দিনে কমে এলেও পাইকার, স্বর্ণকার, মুদি কিংবা যারা বাকিতে ব্যবসা করেন, এমন অনেকে টিকিয়ে রেখেছিলেন বৈশাখী এ আয়োজন। মহামারীর মধ্যে সেটাও ছিল বন্ধ।
এবার করোনাভাইরাসের ত্রাস কমেছে, আসছে বৃহস্পতিবার ১৪২৮ বঙ্গাব্দকে বিদায় জানিয়ে শুরু হবে ১৪২৯।
তবে সারাদেশের মত চট্টগ্রামের অনেক ব্যবসায়ী সনাতন পঞ্জিকা অনুসরণ করে বর্ষবরণ করেন; তাদের হালখাতা হবে শুক্রবার।