নিয়ন্ত্রণযোগ্য শব্দদূষণ কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না?

ডেইলি স্টার তানজিল রিমন প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৫০

করোনা মহামারি শুরু হলে সন্ধ্যার পর মেয়েকে নিয়ে বাসার নিচের সড়কে হাঁটতে বের হতাম। সারাদিন বাসায় থেকে সে খুবই বিরক্ত থাকত, সড়কে বের হলে তার খুশি দেখে বোঝা যেত। তখন কেবল হাঁটতে শিখেছে। কিন্তু প্রধান সড়কের কাছাকাছি যেতেই সে দুই হাত দিয়ে তার কান চেপে ধরত। প্রথমবার আমি বুঝতে পারিনি, সে কেন কানে হাত দিয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে বাসার কাছাকাছি আসতেই কান থেকে হাত সরিয়ে নিলো। সড়কের অন্য প্রান্তে যেতেই আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি— ওর কানে হাত এবং সে আর এগুতে চাচ্ছে না।


এবার আমি বুঝতে পারলাম, প্রধান সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়িসহ যানবাহনগুলো সব হর্ন দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে, আর সেই শব্দ পাওয়া মাত্রই কান চেপে ধরছে সে। আমি দ্রুত এবার পেছনের দিকে ফিরলাম। ভেতরের দিকে সড়কের যে অংশে গাড়ির হর্নের শব্দ খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না, সেই অংশে তাকে নিয়ে হাঁটতে থাকলাম। কিন্তু সেখানেও কোনো গাড়ি যাওয়া মাত্রই সে কান চেপে ধরত, এমনকি হর্ন না দিলেও। হয়তো সে ভাবছে, এখনই সে হর্ন দিবে এবং তা হয়েছেও। ফাঁকা সড়কেও হর্ন বাজাতে বাজাতে যাচ্ছে গাড়িগুলো।


এই সমস্যাটি বেশ কিছুদিন ছিল। যদিও এখন খুব বেশি হর্ন না শুনলে সে কানে হাত দেয় না। কিন্তু বিরক্ত হয় খুব। বুঝতে পারি যে, বিষয়টি অনেকটাই সে সহ্য করে নিয়েছে! কী অসহায় আমরা। আমাদের শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ দিতে পারছি না। শব্দদূষণের কারণে মেয়েকে নিয়ে বাইরে বের হওয়া বিপদ। নিশ্চিত ক্ষতি জেনেও নানা কাজে তাকে নিয়ে বাইরে বের হতে হয়। আমি খুব ভালো করেই জানি, সড়কে যে শব্দদূষণ, সেটি আমাদের স্বাস্থ্যহানিকর। বড়দের চেয়েও শিশুদের জন্য এটি ভয়াবহ ক্ষতির কারণ। কিন্তু এই শহরের একটি সড়ক কি আছে, যেখানে শব্দদূষণ হয় না? শব্দদূষণের যে মানমাত্রা রয়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ শব্দের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। আর এই ভয়ংকর শব্দদূষণ তৈরি করছি আমরা এই শহরের মানুষেরা। নিজেদের বিপদ নিজেরাই তৈরি করছি। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নেই, প্রতিকার নেই, ব্যবস্থা নেই। উপায় একটাই আছে, সেটা হলো— সহ্য করে যাওয়া।


সম্প্রতি প্রকাশিত শব্দদূষণ নিয়ে 'ফ্রন্টিয়ার্স ২০২২: নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসম্যাচেস' শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শব্দের শহরের তালিকায় এক নম্বরে আছে ঢাকা। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) করা এই বৈশ্বিক প্রতিবেদনে ঢাকার তিন ধাপ পর অর্থাৎ চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাজশাহী। অবশ্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ হয়তো ভেবে থাকে, প্রথম তো হয়েছি! সেটা নেতিবাচক হলেই বা কী। শীর্ষে থাকা কম কথা নয়। চাইলেও অনেক দেশ বা শহর প্রথম হতে পারবে না। কিন্তু আমরা পেরেছি। বায়ুদূষণেও আমরা বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us