আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মিল মালিকরা আবারও এর দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছে। সরকারের পক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বুধবার এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। এরপর থেকেই বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হতে শুরু করে। এখন পাঁচ লিটার ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। খোলা সয়াবিনও মিলছে কম। এদিকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। এ কারণে দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে।
রোজা ও ঈদ উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সয়াবিন ও পাম ওয়েল আমদানির ওপর ১০ শতাংশ, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। এর আগে এলসি কমিশন ও মার্জিন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরপরও বাজারে তেলের দাম কমছে না। বরং বেড়েইে চলেছে। এসব সুবিধা দেওয়ার পর ২০ মার্চ তেলের দাম প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা থেকে ৮ টাকা কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু ওই দরে বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা লিটার দরেই বিক্রি হচ্ছিল। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজারে অভিযান চালিয়ে নির্ধারিত দরে তেল বিক্রি না করে বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে। ফলে তারা অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে। তাতেও বাজারে তেলের দাম কমেনি।