করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং শিল্পের ঋণের সুদ ভর্তুকিতে সরকারের ২ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে।
এটি জাতীয় বাজেটের ৪১ শতাংশের সমান। বিপুল অঙ্কের মধ্যে টিকা কেনা ও বিতরণে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। সংকট মোকাবিলায় দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং তাদের বেতনভাতা জোগানে ৪১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
এছাড়া করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ বাবদ ব্যয় হয় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রণোদনার ঋণের যে সুদ, সেটির অর্ধেক সরকার বহন করতে গিয়ে ভর্তুকি গুনতে হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, করোনা মোকাবিলায় কয়েকটি খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি না করে উপায় ছিল না। বিকল্প কোনো পথও ছিল না। ওই সময় জীবন রক্ষা করা জরুরি ছিল। ব্যবসায়ীদের জন্য যে প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে, এতে তারা উপকৃত হয়েছে। যে কারণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় অর্থনীতির ক্ষতি বাংলাদেশে কম হয়েছে।