খুলনা দাকোপ উপজেলার ৩২ নম্বর পোল্ডারের ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও দুই কিলোমিটার নদীশাসনের কাজ আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা। এই প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এখন একই বাঁধ সংস্কারে প্রায় ১৫২ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রস্তাব অনুযায়ী আরো ছয় কিলোমিটার নদীশাসন করা হবে। প্রকল্পটি ঠিকাদার নিয়োগ ও কার্যাদেশের অপেক্ষায় আছে।
স্থানীয়রা বলেছে, ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় মানুষের মতামত না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সরকার যেমন আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তেমনি সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, আগের প্রকল্প চলাকালেই উপকূলের নদীর গতি-প্রকৃতি পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ জন্য দরকার নদীশাসন।
সিটিজেন চার্টার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প প্রথম পর্যায়ে বিশ্বব্যাংক তিন হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীর জেলায় পোল্ডারভিত্তিক ৪১২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করছে। ২০১৬ সালে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়। দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পে বনায়ন, বাঁধের ঢাল প্রতিরক্ষা, নদীতীর সংরক্ষণ ও বনায়ন করা হবে। এরই মধ্যে খুলনার ৩২ ও ৩৩ নম্বর পোল্ডারে কাজ শেষ হয়েছে। ৩২ নম্বর পোল্ডারে ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও নদীর ভাঙন রোধে (নদীশাসন) বিভিন্ন স্থানে দুই কিলোমিটার ব্লক ডাম্পিং ও জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। এই পোল্ডারে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।