You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পারমাণবিক নাকি মানবিক?

পরাশক্তি রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য, ১ হাজার ২০০ ট্যাংক, ২০০ যুদ্ধবিমান, অসংখ্য সাঁজোয়া গাড়ি এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে দুর্বল প্রতিবেশী, স্বাধীন দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়েছে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. আশরাফ গনির মতো সবাইকে অন্ধকারে রেখে রাতের অন্ধকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পালিয়ে যাননি; বরং যুদ্ধের মাঠে থেকেই এমন ক্রান্তিকালে নিজ দেশের সেনাবাহিনী এবং জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, পথ দেখাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক, নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য প্রাণপাত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বলা চলে তিনি অনেকটাই সফল হয়েছেন। ঠেকিয়ে দিয়েছেন রাশিয়ার অগ্রযাত্রা। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দুই দিনের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন।

অথচ যুদ্ধ শুরুর পরে মাস অতিক্রান্ত হলেও ইউক্রেনীয় বাহিনীর অপ্রত্যাশিত, তীব্র প্রতিরোধের কারণে পরাশক্তি রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে বাগে আনতে সমর্থ হয়নি। খুব অল্প সময়ে ইউক্রেনের দখল নিতে এবং সেখানে একটি অনুগত পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে পুতিন যে পরিকল্পনা করেছিলেন, আপাতত সেই পরিকল্পনা সফল হচ্ছে না। যুদ্ধে দেশটির উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সাঁজোয়া যান ও সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে। সঠিক সংখ্যা না জানা গেলেও, যুদ্ধে প্রাণহানি ঘটেছে বিপুলসংখ্যক রাশিয়ান সৈন্যের। তা ছাড়া, পারমাণবিক অস্ত্রে হাত রেখে ইউক্রেন দখলে নিলে দ্বিধাগ্রস্ত এবং বিভক্ত পশ্চিমা দেশগুলো তেমন উচ্চবাচ্য করবে না—পুতিনের এমন ধারণাও মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বাত্মক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া রাশিয়ার পক্ষে এখন অনেকটাই অসাধ্যসাধনের মতো হয়ে উঠছে। এ সময়ে চীন ও ভারত যতটা এগিয়ে আসবে বলে ভাবা হয়েছিল, তা হয়নি। মুষ্টিমেয় কিছু স্বৈরশাসকের বলয়ে খানিকটা প্রশ্রয় পেলেও কূটনীতির মারপ্যাঁচে পুতিন এখন অনেক বেশি একা এবং বিচ্ছিন্ন। রাজনৈতিক ও সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুতিন একটি দীর্ঘস্থায়ী, বিশাল ব্যয়বহুল ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন।

পরিকল্পনামাফিক কাজ না হওয়ায়, রাশিয়ান সেনারা ইতিমধ্যে ব্যবহার করেছে ভ্যাকুয়াম বোমা বা থার্মোবারিক ও ‘কিনঝাল’ নামের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে এবং ১ হাজার ২০০ মাইলের মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেটাকে আটকাতে পারে না। পুতিন এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘মোক্ষম অস্ত্র’ বলে অভিহিত করছেন। মস্কোভিত্তিক সামরিক বিশেষজ্ঞ ভ্যাসিলি কাশিন জানিয়েছেন, বিশ্বে এই প্রথম কোনো যুদ্ধে হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলো। অর্থাৎ ইউক্রেনকে বাগে আনতে ব্যবহার করতে হচ্ছে এমন সব ভয়ংকর ‘মোক্ষম অস্ত্র’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন