মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় এক বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। ফলে বেড়েছে পণ্যের মূল্য। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের মতো জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশের অর্থনীতিতে সম্প্রতি নতুন ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে চলেছে লাগামহীনভাবে।
করোনার আগে ২০১৯ সালে দেশে নয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমান রিজার্ভ থাকলেও সম্প্রতি রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার; যা দিয়ে ৫ মাসেরও কম সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক কোনো কোনো নিরাপদ মানদণ্ড অনুযায়ী কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই তাকে নিরাপদ ধরা হয়। তবে মনে রাখা দরকার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নতুন সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও নতুন ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।