You have reached your daily news limit

Please log in to continue


কতটা পথ ছুটলে তবে এতটুকু অন্ন পাওয়া যায়

বাসেদ মিয়ার মেজাজ ও মুখের ভাষার জাতপাত নেই। কী করেন জানতে চাইলে একটা তিক্ত অভিব্যক্তি দিয়ে বললেন, দেখেন না হাওয়া খাই? নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের উল্টো দিকে থানার কাছাকাছি বুকসমান উঁচু দেয়ালে বসে আসলেই হাওয়া খাচ্ছিলেন বৃদ্ধ। ২০ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকের ঘটনা। তখন আজিমপুর কবরস্থান হয়ে খানিকটা বাতাস আসছে মেহগনি, দেবদারুগাছের সারির ভেতর দিয়ে। বাসেদ মিয়া নিউমার্কেট ১ নম্বর গেট, আজিমপুর ছাপরা মসজিদ, বাকুশাহ মার্কেট—সব মিলে প্রায় সাত কিলোমিটার পদযোগে যাত্রা করে বিফল হয়েছেন টিসিবির ট্রাকের নাগাল পেতে।

পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মহীন ব্যক্তি বলে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল ন্যায্যমূল্যের পণ্য কিনতে। পরীক্ষায় ফেল করে বাড়ি ফিরতে ভয় পাওয়া ছাত্রের মতো অবস্থা মানুষটার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষার হিসাব নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা ও বুদ্ধি–পরামর্শ এসেছে এরই মধ্যে। কিন্তু টিসিবির ট্রাকগুলো হঠাৎ হঠাৎ জায়গা বদলালে এসব মানুষের যে ভোগান্তি হয়, এর সমাধান কী?

নিউমার্কেট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আ স ম ফেরদৌস আলমের নির্দেশে সেদিন ট্রাকটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর পর সিদ্ধান্ত বদলে নেওয়া হয়েছিল অন্য জায়গায়। প্রথম আলোর ২১ মার্চের একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কাউন্সিলর বলেছেন, সম্প্রতি নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেট, আইয়ুব আলী কলোনিসহ কয়েকটি জায়গায় টিসিবির পণ্য দেওয়া হয়েছে। আরও বেশি প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছানোর কথা বিবেচনা করেই সেদিন বাকুশাহ মার্কেটের আশপাশে ট্রাক রাখার সিদ্ধান্ত হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ সিদ্ধান্ত কেন ঘটনাস্থলে ট্রাক পৌঁছানোর পর নিয়ে থাকেন? উত্তর আসবে, সুষম বণ্টনের চেষ্টা। একই জায়গায় বারবার গেলে একই পরিবার সুযোগ বেশি পাচ্ছে আর কেউ কেউ ট্রাকের খবরই পাচ্ছেন না। আবার স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে ডিলারদের বোঝাপড়া হয়, এ কারণে চুরি করে টিসিবির পণ্য বিক্রির সুযোগ থাকে। এসব বিবেচনায় ট্রাক দাঁড়ানোর স্থান বদলানো হয় শেষ মুহূর্তে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটি এতই সরল?

নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার কোয়ার্টারের ভেতর ট্রাক ঢুকিয়ে গেট বন্ধ করে পছন্দের মানুষের কাছে পণ্য বিক্রির অভিযোগ এসেছে এ মাসের শুরুর দিকে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতার ছাপ দেওয়া ভোটারদের জন্য বারবার আইয়ুব আলী কলোনির ভেতর কেন ট্রাক যায়, তা–ও জিজ্ঞাসা ছিল সেদিনের লাইনে দাঁড়ানো ক্ষুব্ধ নারীদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে টিসিবির পণ্যের জন্য ইস্যুকৃত কার্ডের ৪০০ জনের কাউকেই চেয়ারম্যান চেনেন না বলে প্রতিবেদন হয়েছে। এ অভিযোগগুলোর সঙ্গে শেষ মুহূর্তে স্থান পরিবর্তনের সম্পর্ক আছে কি না, প্রশ্ন আসতেই পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন