দারিদ্র্যের কশাঘাত ও মুক্তির উপায়

যুগান্তর ড. মাহবুব উল্লাহ প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২, ১০:৩৯

দারিদ্র্য শুধু মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, দারিদ্র্য মানুষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলে। এই মানসিক দুর্বলতার ফলে মানুষ নিজের প্রতি আস্থা হারায় এবং অন্য মানুষদের দয়া দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। একবার এ নির্ভরশীলতার চক্রে আবদ্ধ হলে দরিদ্র মানুষটি ভাবতে পারে না, এ দশা থেকে তার মুক্তি আছে।


জীবন সম্পর্কে সে অতিমাত্রায় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে থাকে। দারিদ্র্যের দুষ্ট চক্রে যারা ঘুরপাক খায় তারা ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য মেহনত করতে হয় এমন কোনো কাজের জন্য উপযুক্ততা হারায়। যে শিশু দরিদ্র মা-বাবার ঘরে জন্মগ্রহণ করে সে শিশু দেহের চাহিদা মতো ক্যালরি, আমিষ ও পুষ্টির ঘাটতিতে ভোগে।


এসব শিশুর বয়স অনুযায়ী দৈহিক ওজন কম থাকে। এরা উচ্চতায় খাটো হয় এবং এদের শরীরের পেশিগুলো শুকিয়ে যায়। শারীরিক বাধন মজবুত হয় না বলে এরা স্বাভাবিক পরিমণ্ডলে চলাফেরা করতে লজ্জাবোধ করে। হীনম্মন্যতা এই শিশুদের পেয়ে বসে। তারা ভাবতে শুরু করে জীবনে কখনো তাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে না এবং তারা সমাজে অপাঙ্ক্তেও থেকে যাবে।


কাজী নজরুল ইসলাম দরিদ্র মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস এবং সাহস জোগাতে লিখেছিলেন, হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান/তুমি মোরে দানিয়াছো খ্রীষ্টের সম্মান। দারিদ্র্য সম্পর্কে কাজী নজরুল ইসলামের এমন ইতিবাচক চিন্তা নিঃসন্দেহে মানুষের মনে সাহস জোগায়। দারিদ্র্য শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশেও দারিদ্র্য আছে। যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই গৃহহীন মানুষদের রাস্তার ফুটপাতে বিছানা পাততে।


এমনকি এসব দেশে শীত ঋতুতে গরিব মানুষরা মাথার ওপর ছাদ না থাকার ফলে ভীষণ কষ্ট পায়। বিশ্বের উন্নত ধনী দেশগুলোও দু’শ বছর আগে এখনকার মতো সমৃদ্ধশালী ছিল না। এসব দেশ তখন বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার তুলনায় অনেক বেশি দারিদ্র্যে নিমজ্জিত ছিল। এসব দেশ উল্লেখযোগ্যভাবে দারিদ্র্যের বিস্তৃতি হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বসভায় এসব দেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। দারিদ্র্যকে জয় করার জন্য এসব দেশে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।


এসব দেশের সরকারগুলোও চেষ্টা করেছে দারিদ্র্য নিরসনকারী পলিসির মাধ্যমে মানুষের জীনবমান উন্নত করতে। উন্নত দেশগুলো যেভাবে মানুষের জীবনকে উন্নত করেছে, তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা সৌভাগ্যবান, আমাদের সামনে উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা থাকায় আমাদের পক্ষে নীতি-কৌশল প্রণয়ন করা সহজসাধ্য হয়েছে। অনুন্নত দরিদ্র দেশের সরকারগুলোর ওপর দুই ধরনের চাপ বিদ্যমান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us