দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধবন্দি, আহতদের সেবা পাওয়ার অধিকার ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার সবিস্তারে বলা হয়। যুদ্ধকালীন বেসামরিক নাগরিকদের যে সুরক্ষা সেটির আইনি ভিত্তি পেতে সংবাদকর্মীদের অপেক্ষা করতে হয় আরও ১৮ বছর।
১৯৭৭ সালে জেনেভা কনভেনশনের প্রথম প্রটোকলে ৭৯ নম্বর ধারায় এই আইনি সুরক্ষা পান সংবাদকর্মীরা। যাতে বলা হয়েছে, যে রাষ্ট্র বা অঞ্চলে সংবাদকর্মী থাকেন সেখানকার কর্তৃপক্ষের বা যে প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করেন, সেই কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্র বহন করতে হবে তাকে।
তবে জেনেভা কনভেনশনের প্রথম প্রটোকলের এই আইনি সুরক্ষা কি সংবাদকর্মীর জীবন বাঁচাতে পারছে। মার্কিন নারী সাংবাদিক ম্যারি ক্যাথরিন কলভিনের কথাই বলি। চেচনিয়া, সার্বিয়া, সিয়েরা লিওন, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব তীমুরে গৃহযুদ্ধের খবর বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১২ সালে সিরিয়ার হোমসে গোলার আঘাতে নিহত কলভিন। রিপোর্টার্স উইথাউট বর্ডার্সের তথ্য মতে, ২০১১ সাল থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ৩শ’র বেশি সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন।
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারান ১৫ জন সংবাদকর্মী। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য বলছে, তিন দশকে আফগান যুদ্ধের খবর সংগ্রহে ৫৫ সংবাদকর্মী মারা গেছেন। পেশাগত দায়িত্বপালনে অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব যুদ্ধের খবর সংগ্রহে গিয়ে কেউ কেউ গুমের পর হত্যার শিকার হয়েছেন।