বাইরে থেকে সুস্থ। অথচ হাঁটাহাঁটি করলে বা সিঁড়ি ভাঙলে হাঁপিয়ে উঠছেন। এমন তো হয়েই থাকে ভেবে অনেকেই এই লক্ষণগুলি এড়িয়ে চলেন। কিন্তু জানতেই পারেন না কখন চুপিসাড়ে এসে রক্তে বাসা বেঁধেছে খারাপ কোলেস্টেরল। স্থূলতা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ তো বটেই কোলেস্টেরলের হাত ধরে ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্রোগেরও।
হৃদ্রোগ চিকিৎসকদের মতে, খাবারের মাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীরে গেলেই বিপদ। বেশি করে শর্করাযুক্ত খাবার খেলে তা পরিণত হয় ফ্যাটে। তখন দেহের কোষগুলি বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল তৈরি করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই রোজের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে দুধের কোনও ভূমিকা নেই।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটি’ শীর্ষক গবেষণা পত্রে প্রকাশিত যে দুধ পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না। গবেষণা পত্রে বলা হয়েছ, যে দুধ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা নিয়মিত দুধ খান তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৪ শতাংস হ্রাস পায়। পরিমিত পরিমাণে দুধ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ারও কোনও আশঙ্কা থাকে না।