গোপালগঞ্জের নিভৃত পল্লি টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া মুজিব এক ভুবনমোহিনী নাম। ব্রিটিশ সাংবাদিকের ভাষায় ‘মুজিব এক সম্মোহনী শক্তি’। ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, ‘শেখ মুজিব এক অলৌকিক ব্যক্তিত্ব’।
বঙ্গবন্ধুর ভরাট কণ্ঠস্বর, বক্তব্যের প্রকাশভঙ্গি, শারীরিক উচ্চতা ও সুদর্শন চেহারা, দৃঢ়তা, অমিত সাহসিকতা, মানুষের প্রতি অতল ভালোবাসা– সবকিছুই তাকে অতি আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। বিশ্বের বাঘা বাঘা রাষ্ট্রনায়ক-সরকার প্রধানরা বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠতেন।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭১ সালের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর আগমনের খবর পাওয়া মাত্র অবকাশযাপনে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ সব কর্মসূচি বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমান ‘কমেট’-এর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। বঙ্গবন্ধু রাশিয়া সফরে গেলে পরাশক্তিধর সোভিয়েত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী সব প্রটোকল ভেঙে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানাতে একসঙ্গে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন।