ত্বকী হত্যার বিচার চেয়ে আমরা সমবেত হই বছরের পর বছর ধরে, এবং প্রত্যেক বছরই আমাদের অনুভূতি হয় এই রকমের যে, আমরা অপরাধী। এই কিশোরকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি।
আমরা যে কেবল ত্বকী হত্যার বিচার চাই, তা না। আমরা এটাও চাই যে, ত্বকীরা যেন সমাজে বাঁচতে পারে। তাদের যে মেধা, তাদের যে সম্ভাবনা, তাদের জ্ঞানানুশীলনের যে আগ্রহ, সেগুলো যেন তারা বিকশিত করতে পারে।
ত্বকীকে আমি প্রতীক হিসেবে দেখতে পাই। বাংলাদেশের কিশোরদের একজন প্রতীক। যে কিশোর গান গায়, পড়াশোনা করে, সুধীজন পাঠাগারে নিয়মিত যায়, আন্দোলনে থাকে, মিছিলে যায়। এবং স্বপ্ন দেখে যে, এই অন্যায়ে ভরা সমাজ, জগৎটাকে সে বদলাবে। ত্বকীকে আমি সেই কৈশোরের, সেই অঙ্গীকারের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে পাই।