বহির্বিশ্ব ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে একটা দেশের সার্বিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিরূপণ করতে হয়। এই মুহূর্তে দেশে ও দেশের বাইরে—সর্বত্র মানুষ কিভাবে জীবন যাপন করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন চ্যালেঞ্জগুলো এখন আলোচনার বিষয়। যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন মোটেও ইতিবাচক নয়।
কভিড-পরবর্তী ঘুরে দাঁড়ানোর মধ্যেই ইউক্রেন সংকট ও উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি বৈশ্বিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা ওলটপালট করে দিচ্ছে এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এর ধকল সইতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে তেল-গ্যাসসহ, খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্যবহির্ভূত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাসহ প্রায় সব কিছুরই দাম বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণত বা অর্থনীতির তত্ত্ব অনুসারে দাম বাড়ে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঘাটতি হলে। এটাই বৈশ্বিক নিয়ম। সারা বিশ্বেই ব্যবসায়ীরা অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং পরোক্ষভাবে রাজনীতিতেও প্রভাব রাখেন। কিন্তু সেটা আইন-কানুন ও নীতি-নৈতিকতার বাইরে গিয়ে নয়। আমাদের এখানে জিনিসপত্র এবং সেবার দাম বাড়ার পেছনে বৈশ্বিক পরিস্থিতি পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে, বিশ্বের বাজারে দাম বাড়ার প্রভাব আমাদের বাজারে পড়ার আগেই পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। মূলত আমাদের দেশে কতগুলো অভ্যন্তরীণ ডায়নামিকস আছে, সেগুলোর কারণেই দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।