ইউক্রেইনে যুদ্ধের কারণে শরণার্থী হওয়া বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্যের ভিসার ব্যাপারে আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে বসবাসরত ব্রিটিশ-বাংলাদেশি অভিবাসন আইনজীবীরা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে’ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় এ সহায়তার অঙ্গীকার দেন তারা।
ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার 'ইউক্রেইন ফ্যামিলি স্কিম' ও 'লোকাল স্পন্সর স্কিম ফর ইউক্রেইন' ভিসা নামের দুইটি ক্যাটাগরিতে শরণার্থী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ওই দুই ক্যাটাগরিতে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেইনে ছেড়ে আসা শরণার্থীরা আশ্রয় নিতে পারবেন।
এর প্রথমটির আওতায় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত কোনও ব্রিটিশ নাগরিক তার বাবা-মা, স্বামী বা স্ত্রীকে স্পন্সর করতে পারবেন। আরেকটিতে নিকট আত্নীয়দের মধ্যে বাবা-মা, বা স্বামী-স্ত্রীর দাদা-দাদী বা নানা-নানী, ভাই-বোন, মামা-মামী, খালা-খালু, চাচা-চাচী, ফুফা-ফুফু, মামাতো বা চাচাতো ভাই-বোন- এমনকি শ্বশুর-শাশুড়ির মাধ্যমেও যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পেতে আবেদন করা যাবে বলে দিক-নির্দেশনা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী মনোয়ার হোসেন বলেন, “ইউক্রেইনে ক্ষতিগ্রস্ত কোন বাংলাদেশি যদি কোনভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করেন, তাহলে তার ভিসা আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকে পরিচালনা পরিষদের সদস্য চৌধুরী হাফিজুর রহমান বলেন, “যে সকল বাংলাদেশির ইউক্রেইনের নাগরিকত্ব রয়েছে তারা বিজনেস ও লোকাল স্পন্সর ক্যাটাগরিতে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যে সকল ব্রিটিশ নাগরিক তাদের বাড়িতে ইউক্রেইনের শরণার্থীদের আশ্রয় দেবেন তাদের প্রতি মাসে ৩৫০ পাউন্ড করে আর্থিক সহায়তা দিবে ব্রিটিশ সরকার।”
তবে আইনজীবী ফজলে এলাহী বলেন, “ইতিপূর্বে আফগান ও সিরিয়া আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার পাঁচ বছর মেয়াদী রিফিউজি স্কিমের ব্যবস্থা করলেও ইউক্রেনিয়দের জন্য ৩ বছর মেয়াদী বিশেষ ভিসার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।”
“যেহেতু আবেদনকারীরা ইউএনএইচসিআর এর মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে আবেদন করছেন না, তাই ভবিষ্যতে তাদের যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে। তবে সব কিছু পরিষ্কার হতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।”