স্বস্তি নেই বাজারে। দেশীয় উৎপাদিত কিংবা আমদানি করা কোনো পণ্য নিয়েই সুখবর নেই। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে মৌসুমি শাকসবজির দামও বেড়েছে।
বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার একদিকে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর বিষয়টি নজরদারি শুরু করেছে। অন্যদিকে সরবরাহে কোথাও কারসাজি রয়েছে কি না, তা-ও পর্যবেক্ষণ করছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এ মুহূর্তে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বেশি। এ জন্য সরকারও একদিকে নিম্ন আয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী দামে পণ্য কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে। অপরদিকে পণ্য আমদানিতে আরোপিত ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহার করছে। তারপরও বাজার কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তেল-চিনির ওপর ভ্যাট মওকুফ করলেও আদৌ কতটুকু কমানো হচ্ছে, তা নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের জানার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। চিনি ও তেলে শতভাগ ভ্যাট তুলে দেওয়া হলে বাজারে প্রভাব পড়বে। তখন লোকসানের ভয়ে অনেকেই বিক্রির চেষ্টা করবেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলেন, ভ্যাট কমালেও প্রভাব পড়বে না। কারণ, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে গেছে।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয় হওয়ায় এ মুহূর্তে মানুষের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদনমুখী শিল্পে কর্মসংস্থানের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি কম খাওয়ারও পরামর্শ দেন।