সবশেষ কাউন্সিলের পর সাত বছর চলছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির। ৫০২ সদস্যের কমিটিতে অনুমোদনের বাইরেও অতিরিক্ত ৫৩ জন জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু এতদিনেও পূরণ হয়নি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদকের পদ। শুরুর দিকে এই পদ নিয়ে আলোচনা থাকলেও এ বিষয়টি বেমালুন ভুলে গেছেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
পদ প্রত্যাশীদের অভিযোগ, চাইলেই যাচাই-বাছাই করে এই পদে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকে যোগ্য কাউকে পদায়ন করা সম্ভব। আর এ নিয়ে কথা বলতে কিছুটা বিব্রত সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদকরাও। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকেই এই পদে আসার অনেকটা রেওয়াজ আছে বিএনপিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় একজন সভাপতি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘৫শ মানুষের কমিটি হলো অথচ সম্পাদকীয় পদ ফাঁকা রাখার যুক্তি কী? এ পদের অনেক যোগ্য লোক আছে বিএনপিতে। নতুন কাউন্সিলের আগে অন্তত ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদকের পদ পূরণ করা উচিত।’ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর ৩০ মার্চ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিবসহ প্রথমে তিনজনকে নিয়োগ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।
ওই বছরের আগস্টে বিএনপির ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। যাতে ১৯ স্থায়ী কমিটির মধ্যে ১৭ সদস্যের নাম, ৭৩ জন উপদেষ্টা, ৩৫ জন ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ৫০২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এত বড় কমিটি নিয়ে তখন দলের ভেতরে-বাইরে নানা সমালোচনাও হয়েছে। তবে এতদিনে ছাত্র, যুববিষয়ক ও দপ্তর সম্পাদকের নাম ঘোষণা না হওয়ায় এখন অনেকটা ভুলে গেছে নীতিনির্ধারকরা।