ব্যবহারে বংশের পরিচয়, এয়ারপোর্টে দেশের

প্রথম আলো সুব্রত বোস প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২২, ০৭:৩৩

কাজের তাগিদে এয়ারপোর্ট আমার প্রাত্যহিক জীবনের একটা অংশ। সপ্তাহে বেশ কয়েকবার আসতে হয়। প্রথমবারের মতো এখন আর এয়ারপোর্টে আসতে বা বসে থাকতে আমার একদমই বিরক্তি লাগে না বা ক্লান্তি আসে না। আমার মনে হয় এয়ারপোর্ট হলো পৃথিবীর সবচেয়ে আবেগঘন জায়গা। এখানে প্রত্যেক মানুষের যাত্রার একটি আয়োজন আছে। একটি উদ্দেশ্য বা উপলক্ষ আছে। আছে আকুলতা। এ আয়োজনগুলো অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘ বা একদমই হঠাৎ, অপ্রত্যাশিত। প্রতিটি যাত্রার পেছনে বলতে পারেন একটা গল্প আছে। কোনোটা শুরুর বা কোনোটা শেষের। গল্পগুলো একদম নিজস্ব। বৈচিত্র্যে ভরা। প্রতিটি গল্পে হয়তো একের বেশি চরিত্র আছে।


১.


হিথ্রো এয়ারপোর্টে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের লাউঞ্জে বসে আছি। যাব ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো। কাজে। বেড়াতে নয়। আমার মতো কেজো যাত্রীদের এয়ারপোর্টে বসে থাকলেও কাজ করতে হয়। কম্পিউটারে মুখ গুঁজে থাকা। আর মাঝেমধ্যে মানুষ দেখা। প্রতিটি মুখে আশা, নিরাশা বা প্রত্যাশার ছাপ।


পাশের যাত্রী হঠাৎ করে বললেন, ‘আচ্ছা, এখানে খেতে হলে কি পয়সা দিতে হবে?’ বয়সটা বড়জোর ২৫। বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা। হেসে দিয়ে বললাম, ‘একদমই নয়। যা খুশি, যত খুশি খেতে পারো। কোনো পয়সা দিতে হবে না।’ নিজ থেকেই বলল, এর আগে সে কখনো বিজনেস লাউঞ্জে আসেনি। খাবার নিয়ে এসে নিজে থেকে আলাপ শুরু করল।


অক্সফোর্ড থেকে ম্যাথমেটিকেল মডেলিংয়ে মাস্টার্স করেছে। ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ের চাকরি নিয়ে নিউইয়র্কে যাচ্ছে। বড় বেতন। প্লেনের সবচেয়ে উঁচু শ্রেণিতে ওঠার খরচ কোম্পানি দিয়েছে। মা-বাবা শ্রীলঙ্কা থেকে আসা তামিল শরণার্থী। বাবা ট্যাক্সি চালিয়ে, রাতে পেট্রলপাম্পে কাজ করে ছেলেকে লন্ডনের বড় স্কুলে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকে অক্সফোর্ড। আমার ফ্লাইটের সময় হয়ে এল। ডাক পড়েছে। উঠতে ইচ্ছা করছিল না। এ যাত্রা তো শুধু লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক নয়। নিঃস্বার্থ এক বাবার সাফল্যের গল্প। বাবাদের গল্প। অদম্য এক মেধাবীর অর্জনের গল্প।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us